ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী
ব্যক্তিগত পরিচয় |
||
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা |
: |
১৫৭, পশ্চিম দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ। |
জাতীয় পরিচয় পত্র নং |
: |
৭৭৮৯৯৫২৪১৮ |
জন্ম তারিখ |
: |
০৫ জুন ১৯৬৬ |
ধর্ম |
: |
ইসলাম (সুন্নী) |
জাতীয়তা |
: |
বাংলাদেশী |
বৈবাহিক অবস্থা |
: |
বিবাহিত |
স্বামীর নাম |
: |
কাজী আহসান হায়াত |
সন্তান |
: |
২ ছেলে (১) কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত। (২) কাজী সারজিল হায়াত অনন্ত। |
শিক্ষা জীবন |
||
প্রাথমিক |
: |
দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুল (৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত) |
মাধ্যমিক |
: |
মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ অর্জন এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টার মার্কসহ উত্তীর্ণ। |
উচ্চ মাধ্যমিক |
: |
নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ হতে ১৯৮৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। |
উচ্চতর শিক্ষা |
: |
১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশীপ অর্জন এবং ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনষ্টিটিউট, রাশিয়া হতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সাথে Doctor of Medicine (MD) ডিগ্রী লাভ। ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নী সম্পন্ন। |
পেশা |
: |
চিকিৎসক। |
রাজনৈতিক পরিচয় |
||
|
||
|
||
|
||
|
||
|
||
|
||
|
||
সামাজিক পরিচয় |
||
|
||
|
||
|
||
|
||
|
||
|
||
বিদেশ ভ্রমন |
||
রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, জার্মান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইতালী, শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিল, স্পেন, মিশর, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন। |
||
পারিবারিক পরিচয় |
||
পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা স্কুলে ছাত্রাবস্থায় তিনি আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন এবং পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে গুরুর্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের ছাত্র-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক-জনতাকে সংগঠিত করে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে অভ্যুথ্থানে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ( মুক্তিযুদ্ধ ক্রমিক নং- ১১৩৮, পৃষ্ঠা নং- ৪৯৯৫, বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত, ২৯ শে মে ২০০৫ খ্রি.)। মুক্তিযুদ্ধের সূচনাতে ২৬ মার্চ তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রাগার লুন্ঠন করে। যা দিয়ে পরবর্তীতে পাকসেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তীতে তিনি ভারতের আগরতলার রাজবাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি আগরতলা ও মেঘালয়ের ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের এবং স্বরনার্থীদের খাবার-দাবার, চিকিৎসা ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব পালন করতেন। আলী আহাম্মদ চুনকা ১৯৬২ সালে দেওভোগ ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিয় বিডি মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রকৃতপক্ষে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তাঁর প্রথম ও প্রধান কাজই ছিল শহরের অবকাঠামো উন্নয়ণ ও উন্নত নাগরিক সেবার মান যথেষ্টভাবে বৃদ্ধি করা। যার ফলে ১৯৭৭ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে তিনি পূনরায় বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত (১৯৮৪ সাল) তিনি একাধারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠে প্রথম গণসংবর্ধনা প্রদান করেন এবং “নগরের চাবী” তাঁর হাতে তুলে দেন। তিনি দলের দূঃসময়ে সংগঠক হিসাবে এবং তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তীতে তাঁরই কন্যা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ২০০৩ সালের ১লা মে নারায়ণগঞ্জ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে “নগরের চাবী” তুলে দেন। আলী আহাম্মদ চুনকা দেওভোগ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু। শৈশব থেকেই অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি ছিল তাঁর অগাধ মমতা ও ভালবাসা। জীবনের বিভিন্ন পর্বে এই জনগোষ্ঠীর প্রতি তার গভীর মমত্ববোধের প্রতিফলন ঘটেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়েছেন। তিনি একদিকে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও অন্যদিকে সমাজের নিন্মস্তরের অবহেলিত বৃহত্তর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে সমভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর ও এর আশেপাশে ভয়াবহ মহামারি দেখা দেয়। বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষের মৃত্যু হয় আত্মীয় পরিজন ফেলে জীবন বাঁচাতে যখন মানুষ এদিক-সেদিক পালাতে থাকে তখন তিনি সহকর্মীদের নিয়ে দল গঠন করে আর্তের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের চিকিৎসা সেবা ও মৃতদের দাফন-কাফনে তাদের পাশে দাঁড়ান। মহামারীর পুরো সময় তিনি এই আর্তের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সাহসিকতার সাথে তিনি বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান। ১৯৬৯ সালে নারায়গঞ্জের ডেমরার টর্নেডো, ১৯৭০ সালে দক্ষিণবঙ্গে জলোচ্ছ্বাস এবং ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় দুর্গতদের রক্ষার জন্য তাঁর ভূমিকা নারায়ণগঞ্জবাসী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। আর এসবের জন্যই তিনি জনগণের “চুনকা ভাই” হিসেবে সারাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠেন। জনহিতৈষী, পরোপকারী অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী বৈশিষ্ট্যের কারনে তিনি সমগ্র নারায়ণগঞ্জের মানুষের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ‘শিশুবাগ বিদ্যালয়’ ও ‘কলরব’ নামে দুইটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শহরের নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল গণবিদ্যা নিকেতন, তোলারাম কলেজ ও মহিলা কলেজ পরিচালনার সাথে যুক্ত থেকে প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত থেকে সংস্কৃতির মান উন্নয়নেও বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি প্রায় শতাধিক সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ক্লাব সমিতি ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকতায় তার অবদান স্মরনীয়। তিনি সুষ্ঠসাংবাদিকতার সুবির্ধার্থে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের জয়াগা বরাদ্দ দেন। নারায়ণগঞ্জে বই পড়ায় উৎসাহ দেয়ার জন্য সুধীজন পাঠাগারের ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। তিনি নারায়গঞ্জে স্কাউট আন্দোলনকে সম্প্রসারিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। কাবাডি, ফুটবল ও ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলাধুলায় তার সবিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বৃহত্তর ঢাকা জেলায় তিনি কাবাডি খেলোয়াড় হিসেবে বহু পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রায় ৭৬টি সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। |
||
মাতা |
: |
মমতাজ বেগম |
ভাই |
: |
২ জন (১) আলী রেজা রিপন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। (২) আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর। |
বোন | : | ২জন (১) মিনু বেগম (গৃহিনী) (২) লাকি ফারহানা (নিউজিল্যান্ড প্রবাসী) |