১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ডিএনডি সেচ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং এ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণের জন্য আদমজি এইপিজেড হতে ডেমরা সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৭.০০ কিলোমিটার জলাধার নির্মাণ করা হয়। তন্মধ্যে ৫.৫ কিলোমিটার জলাধার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। কিন্তু পরবর্তীকালে এই এলাকায় জনবসতি ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় অবৈধ দখল, দূষণ ও প্রতিনিয়ত মানুষের বর্জ্য ফেলার কারণে খালটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয় এবং কালক্রমে খালের অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকে। বিলুপ্ত জলাধারটি উদ্ধার ও নির্মল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি গভার্নেন্স প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিদ্ধিরগঞ্জ লেক (শিমরাইল হতে ভাঙ্গারপুল পর্যন্ত) পুনঃখনন সহ খালের পশ্চিম পাড়ে রাস্তা, ড্রেন, ব্রীজ, ওয়াকওয়ে, ল্যান্ডস্কেপিংসহ সৌন্দর্যবর্ধন শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে প্রকল্পটির অগ্রগতি প্রায় ৭০%। প্রকল্পটির কাজ আগামী ডিসেম্বর/২০২১ এর মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৫.৫ কি:মি: রাস্তা, ৪.০০ কি:মি: আরসিসি ড্রেন, ৫.৫ কি:মি: খাল খনন, সিসি ব্লক দ্বারা খালের পাড় বাঁধাই, ৫.৫ কি:মি: ডিভাইডার ওয়াল নির্মাণ, ১টি এম্ফিথিয়েটার, ৯টি নৌকা চালনার ঘাট, ৩টি ভাসমান মঞ্চ, ৩টি ওয়াটার গার্ডেন, ৩টি ঝুলন্ত বাগান, ৯টি পাবলিক টয়লেট, ২টি ফোয়ারা, ২টি ওয়েটিং সেড, ১৫টি প্লান্টার বক্স, ২৮টি ডাষ্টবিন, স্ট্রীট লাইট সিংগেল ২৮টি এবং ডাবল ১৮২টি, ৬টি দোলনা, ২টি সুইং স্লাইট, ৭টি ঢেকিকল, ৩টি ব্রীজের মই, ১৩২টি সিটিং বেঞ্চ, ৩টি আরসিসি ব্রীজ এবং ৩টি ফুটওভার ব্রীজ অন্তর্ভুক্ত আছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের পরিবেশ উন্নয়নসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের গণপরিসরের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া খালটি অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য সংরক্ষিত জলাধার (রিটেনশন পুকুর) হিসেবে কাজ করবে। অপরদিকে অগ্নিকান্ড নির্বাপনের জন্য পানি সরবরাহের একমাত্র প্রধান উৎস হিসেবে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। সিদ্ধিরগঞ্জ লেকটি সংরক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমে নগরবাসীর একঘেয়েমি জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
প্রকল্পের নাম |
: |
সিদ্ধিরগঞ্জ ভাঙ্গারপুল হতে শিমরাইল গলাকাটা ব্রীজ পর্যন্ত প্রধান খাল পুনঃ খনন ও খালের পশ্চিম পাড়ে রাস্তা, ড্রেন, ব্রীজ, ওয়াকওয়ে, ল্যান্ডস্কেপিংসহ সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজ। |
কাজের উপাংশ |
: |
(১) খাল খনন-৫.৫ কি.মি.। (২) আরসিসি ড্রেন-৪ কি.মি.। (৩) আরসিসি রাস্তা- ৫.৫ কি.মি। (৪) সিসি ব্লক দ্বারা খালের পাড় বাঁধাই। (৫) ডিভাইডার ওয়াল-৫.৫ কি.মি.। (৬)এম্ফিথিয়েটার-১টি। (৭) নৌকা চালনার ঘাট-০৯ টি। (৮) ভাস্যমান মঞ্চ-০৩ টি। (৯) ওয়াটার গার্ডেন-০৩ টি। (১০) ঝুলন্ত বাগান-০৩ টি। (১১) পাবলিক টয়লেট-০৯ টি। (১২) ফোয়ারা-০২টি। (১৩) ওয়েটিং সেড-০২টি। (১৪) প্লান্টার বক্স-১৫টি। (১৫) ডাষ্টবিন-২৮টি। (১৬) স্ট্রীট লাইট সিংগেল-২৮টি এবং ডাবল-১৮২টি। (১৭) দোলনা-০৬টি। (১৮) সুইং স্লাইট-০২টি। (১৯) ঢেকিকল-০৭টি। (২০) ব্রীজের মই-০৩টি। (২১) সিটিং বেঞ্চ-১৩২টি। (২২) আরসিসি ব্রীজ ০৩টি। (২৩) ফুট ওভার ব্রীজ ০৩ টি। |
প্যাকেজ সংখ্যা |
: |
০২ টি। |
চূক্তিমূল্য |
: |
৯৯.৩৩ কোটি টাকা। |
চুক্তি সম্পাদনের তারিখ |
: |
০৪/০৪/২০১৯ খ্রি.। |
অর্থায়নকারী সংস্থা |
: |
সিটি গভারন্যান্স প্রজেক্ট (সিজিপি)। |
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
: |
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। |
বাস্তবায়নের সময়সীমা |
: |
৪৫০ দিন। |
|
পূরণকৃত নমুনা ফরমঃ