নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে ১৭নং ওয়ার্ডে পাইকপাড়া ঐতিহাসিক মিউচুয়েল ক্লাব অবস্থিত। এ ক্লাবটি ১৯২৭ সালে স্থাপিত হয়। জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত মিউচুয়েল ক্লাবের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এ ক্লাবটিকে পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে গত ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এ দর্শনীয় ভবনটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। মিউচুয়েল ক্লাবকে ঘিরে রয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর অনেক স্মৃতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বুনেছিলেন তার প্রাথমিক কাজ ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠা। এ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয় এই পাইকপাড়া মিউচুয়েল ক্লাবে। যা বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”তে ১০১নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে। এ কারণে ক্লাবটি ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় ও বরণীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পাইকপাড়া ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের অভিষেক-৯২ তে স্মরণিকা প্রকাশ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাইকপাড়া মিউচুয়েল ক্লাবের স্মৃতিচারণ করেন।
১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশের ক্রান্তিলগ্নে আন্দোলনের পাদপিট ঐতিহ্যবাহী পাইকপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রতিবাদ এ ঐতিহ্যবাহী মিউচুয়েল ক্লাব থেকেই করা হয়। এ আন্দোলনের সূচনাকারী পাইকপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন, শোষণহীন শিক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও বাংলার মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামের সাথে মিউচুয়েল ক্লাব ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে মিউচুয়েল ক্লাবের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে যু্ক্ত হয়ে আছে। তাই মিউচুয়েল ক্লাব ব্যতীত বাংলাদেশের ইতিহাস যেনো এক সুতোবিহীন ঘুড়ি।
পূরণকৃত নমুনা ফরমঃ